মো. ইউনুস আলী আকন্দ নামের এক আইনজীবী বুধবার এই রিট আবেদন সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন।
এতে বলা হয়, ২০১০ সালের মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুসারে এই পরীক্ষা নেয়ার কথা কাউন্সিলের, সরকারের নয়।
“একই বছরের জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়ার কথা বলা রলেও সরকার কোনোদিকেই তা মানে না।”
কোন কর্তৃত্ববলে সরকার এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষা পরিচালনা করে, তা জানতে রুল জারির আবেদন করেছেন ইউনুস আলী।
পাশাপাশি এই রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা না নিতে আদালতের কাছে নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
ইউনুস আলী বলেন, “আজই বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন জমা দেব। আদালত সুযোগ দিলে কাল (বৃহস্পতিবার) শুনানি করব।”
আবেদনে তিনি বলেছেন, “আইন অনুসারে এই ভর্তি পরীক্ষা কাউন্সিলকেই নিতে হবে। তা না করে নিচ্ছে অধিদপ্তর। এতে আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি প্রতি বছর প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে ভুল করে, যাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের আগে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা ছিল না। ভর্তি পরীক্ষা নেয়া শুরু হয় ১৯৮০’র দশকে।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের ৮৭টি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ৮ হাজার ৪৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এবার ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৪ অক্টোবর।
সরকার ২০১২ সালে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এবং সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্পন্ন করার নির্দেশনা চেয়ে ওই সময়ও একটি রিট আবেদন করেছিলেন ইউনুস আলী আকন্দ।