প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নিউ ইয়র্কে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে ওই অনুষ্ঠান।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বন্ধুরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা এতে অংশ নেবেন। এছাড়া জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে এ যাবত দায়িত্বপালনকারীদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতির প্রয়োজনে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
৪০ বছর আগে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হয়। ওই বছরই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রচার করা হবে।
এরপর আন্তর্জাতিক এ ফোরামে বাংলাদেশ কীভাবে অবস্থান করছে, মানবতার কল্যাণে কী ধরনের ভূমিকা রাখছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদান, নারী ক্ষমতায়ন এবং শিশু মৃত্যু রোধে বাংলাদেশের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবিবরণী দেয়া প্রচার করা হবে।
এদিকে জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে আসছেন ২২ সেপ্টেম্বর সকালে।
২৭ সেপ্টেম্বর সকালে সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য উপস্থাপনের পরই শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। পরে বিকালে তিনি সিটির সেন্ট্রাল পার্কে একটি সমাবেশে অংশ নেবেন।
গ্লোবাল পোভার্টি প্রজক্টের এ অনুষ্ঠানে চরম দারিদ্র্য দূর করতে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির ঘটনাবলী শেখ হাসিনা উপস্থাপন করবেন। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন, বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্সেস প্রমুখ।
তিন বছর আগে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’র সহায়তায় ‘গ্লোবাল পোভার্টি প্রজেক্ট’, গ্লোবাল সিটিজেন নামক আন্তর্জাতিক এ সংস্থা গঠন করে।