টিফিন খেয়ে অসুস্থ শতাধিক শিক্ষার্থী

নাটোরে একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়া খাবার খেয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2014, 06:17 AM
Updated : 27 August 2014, 09:25 AM

বুধবার শহরের আলাইপুরের অবস্থিত 'নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে' এ ঘটনা ঘটে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নাটোর প্রতিনিধি জানান, খবর পেয়ে অভিভাবক ও সাংবাদিকরা বিদ্যালয়ে গেলে সরকারি এ স্কুলের কোন শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।

অসুস্থ ছাত্রীদের নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর ৩৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্কুলের কেকে খেয়ে অসুস্থ ছাত্রীরা বমি করছিল। খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এটা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষকে কেক পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাত থেকে আটশ' শিক্ষার্থী নিয়ে চলা সরকারি এ বিদ্যালয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের টিফিনের ব্যবস্থা করে থাকে।

অভিভাবকরা জানান, সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে টিফিন হিসাবে কেক সরবরাহ করা হয়। ওই কেক খাওয়ার পর পরই শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে। অনেকে মাথা ঘুরে পড়ে যায়।

এ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা অভিভাবকরা শিক্ষকদের কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বিদ্যালয় থেকে  সটকে পড়েন। পরে অভিভাবকরা নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

ফারজানা ইয়াসমিন নামে অসুস্থ এক ছাত্রী জানায়, কেক খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর বমি হতে থাকে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সরকার বলেন, “স্থানীয় বেনু বেকারি থেকে সকালে টিফিনের কেক সংগ্রহ করা হয়েছিল। কেক খাওয়ার পর ছাত্রীরা অসুস্থ হলে আমরা তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।”

খাবার দেওয়ার আগে তা পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি স্কুলে নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।”

ঘটনার পর বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের সরে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার বাসুদেব বনিক, সিভিল সার্জন ফেরদৌস নিলুফার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) কাজী আতিয়ুর রহমান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল খালেক ছাত্রীদের দেখতে হাসপাতালে যান।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল খালেক বলেন, “সবার আগে আমরা শিশুদের চিকিৎসার বিষয়টি নজরদারি করছি।”

টিফিনের বাকি কেক পরীক্ষা করাসহ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশা দেন তিনি।