মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ফেইক আইডিগুলো বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের বলেছি। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি।”
জাসদ সভাপতি ইনু জানান, তার নিজের একটি ফেইসবুক (https://www.facebook.com/hasanulhaq.inu?fref=ts) আইডি আছে। তার নামে থাকা অন্য অ্যাকাউন্টগুলো তার নয়।
এসব ‘ভুয়া’ ফেইসবুক আইডি থেকে কী ধরনের ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে- তার কিছু নমুনাও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন মন্ত্রী।
ইনু জানান, একটি আইডিতে তার ‘প্রোফাইল পিকচার’ হিসাবে ‘কোট-টাই পরা’ একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, যদিও টাই পরে তিনি কোনো ছবি তোলেননি।
“বহু তরুণ-তরুণি আমাকে ফোন করে বলেছে- ‘আপনি ইনু সাহেব ১৫ অগাস্টের পরে (বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর) ট্যাঙ্কির উপর চড়ে নাচতাছেন, এই আপনি ইনু!’”
“আমি বললাম, এসব খবর কোথায় পাও তোমরা? আমি তো ১৫ অগাস্ট জান বাঁচাচ্ছি, ট্যাঙ্কির উপর নাচব কখন? এ রকম তো ঘটনা আমি জানি না।
“তারা বলল, ‘আপনি আপনার নিজের আইডিতে ১৫ অগাস্টের দিনে উল্লাসের ছবি ছাপিয়ে দিয়েছেন। দেখাচ্ছেন আপনি একটা বিরাট কাজ করছেন’।”
একটি ভুয়া আইডি (https://www.facebook.com/hasanulhauqe.inu?fref=ts) দেখিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অবাক হচ্ছি, কত আনাড়ি তারা! আইডিতে আমার নামের বানানটাও ভুল। আপনারা মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।”
ইনু জানান, ফেইসবুকের একটি অ্যাকাউন্টে তাকে জাসদের চেয়ারম্যান বলা হয়েছে, অথচ জাসদে চেয়ারম্যান বলে কোনো পদ নেই।
‘চরিত্রহননের এসব চেষ্টার’ জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে দায়ী করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ইনুর চরিত্রহননের জন্য মা-ছেলে মিলে পাগলামি শুরু করেছেন। এই পাগলামি দুদিন পরে ইনশাল্লাহ বন্ধ হয়ে যাবে।”
জাসদ সভাপতির দাবি, “ইনু বর্তমানে কি ভূমিকা রাখছে, অতীতে কি ভূমিকা রেখেছিল তা সবাই জানে।”