পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চলে প্লাবন

পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মুন্সীগঞ্জ ও ফরিদপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিস্তীর্ণ এলাকায় ধানক্ষেত ও সবজিক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে, পানিবন্দি হয়েছে বেশকিছু পরিবার।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমুন্সীগঞ্জ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2014, 04:31 PM
Updated : 23 August 2014, 04:31 PM

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূল পয়েন্টে শনিবার সন্ধ্যায় পদ্মা বিপদ সীমার তিন সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, শ্রীনগর, লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, পানিবন্দি হয়েছে অনেক পরিবার।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউএনওগণ সার্বিক পরিস্থিতি তদারক করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, শনিবার সকালে ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি বিপদ সীমা স্পর্শ করেছে। সন্ধ্যায় বিপদ সীমা অতিক্রম করে।

ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, চরভদ্রাসন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে।

প্লাবিত এলাকায় প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া প্রায় একশ একর সব্জি মাঠসহ অন্তত ২৫০ একর জমির আধপাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে।

চরভদ্রাসন উপজেলার চরহরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল বারী দীপু জানান, ইউনিয়নের শালেপুর গ্রাম, ভাটিশালেপুর, আমিনখার ডাঙ্গী, ছমির বেপারীর ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় ৩৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।

এছাড়া এ এলাকার প্রায় ৮০ একর জমির আউশ ধান ক্ষেত ডুবে গেছে।

চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মৃধা জানান, পদ্মার পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়ে চরকালকিনিপুর মৌজা, চরমির্জাপুর, চরতাহেরপুর ও চরকল্যানপুর মৌজার অন্তত ৪শ’ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এসব এলাকার পটল, উচ্ছে, ঝিঙে ও মিষ্টি কুমড়ার প্রায় ৬০ একর সব্জি মাঠসহ ১১০ একর ধানি জমি বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, বন্যার পানিতে মাথাভাঙ্গা গ্রাম, হাজীডাঙ্গী, সেকের ডাঙ্গী, বালিয়া ডাঙ্গী, ফাজিলখার ডাঙ্গী, এমপি ডাঙ্গী ও টিলারচর গ্রামের প্রায় ২শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ২৫ একর সব্জি মাঠ ও ৭০ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে।

এছাড়াও উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের বিন্দু ডাঙ্গী, চরহোসেনপুর, নতুন ডাঙ্গী, খালপাড় ডাঙ্গী, মধুফকিরের ডাঙ্গী ও জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় ২শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রায় ৩০ একর জমির সব্জি মাঠ ও অন্তত ৫০ একর জমির ধান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুব হাসান শাহীন জানান, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের পানিবন্দি পরিবারের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। দুর্গত পরিবারের জন্য ত্রাণ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।