নাটিমা কুড়িপোল গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় একদিন পর।
মারধরে অসুস্থ হালিমা বেগম ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রি আব্দুল মজিদের স্ত্রী।
ওইদিনই তিনি মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তবে, শনিবার দুপুরের পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মহেশপুর থানার ওসি লিয়াকত হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই গ্রামের শফিক আহমেদ ও মিন্টু নামে দুই যুবক প্রতিবেশী এ নারীকে কয়েকদিন থেকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু হালিমা তাতে সাড়া না দেয়ায় তারা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে।
ওসি লিয়াকত জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হালিমা পাশের অফেজ উদ্দিনের বাড়ি গেলে সেখানে উপস্থিত শফিক ও মিন্টু তাকে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে হালিমা বাধা দিলে শফিক ও মিন্টু তাকে চোর সাজিয়ে চিৎকার শুরু করে। এরপর আফেজ উদ্দিনের বাড়ির লোকজনসহ হালিমাকে মারধর শুরু করে।
পরে তাকে বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে বেঁধে পেটায় এবং এক পর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে দেয়।
পরে নাটিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনিসুর রহমান গিয়ে হালিমাকে উদ্ধার করেন।
সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে হালিমা মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।
ওসি বলেন, শুক্রবার বিকালে খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রামে যায়। তারপর হালিমা খাতুনকে বাদী করে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ খুরশিদ নামে এক নির্যাতনকারীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে ওসি জানান।
ওসি লিয়াকত হোসেন আরো জানান, তিনি শুনেছেন হালিমা শনিবার হাসপাতাল থেকে তার কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি গেছেন। তবে, তা নিশ্চিত নয়।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা রেহানা পারভীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত হালিমা হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।