বেনাপোলে ১৭৬ একর খাস জমি বেদখল

যশোরের বেনাপোলে প্রায় পৌনে দুইশ একর সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছে একটি ভূমিদস্যু চক্র। এখানে তারা জমিতে নানা স্থাপনা নির্মাণ ও নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করছে। 

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2014, 01:38 PM
Updated : 23 August 2014, 01:38 PM

প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা এসব খাস জমি সেটেলমেন্ট অফিসের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহায়তায় নিজ নামে রেকর্ড করে নিয়েছে বলে বেনাপোল ভুমি অফিস কর্মকর্তারা জানান।

বেনাপোল ভূমি অফিস কর্মকর্তা এমএ মজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বেনাপোল তহসীল অফিসের অধিভুক্ত ১৭৬ একর খাস জমি প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ভোগদখল করছে।

এসব খাস জমির মধ্যে রয়েছে হাকর নদী বড় আঁচড়া মৌজায় ৫.৬০ একর, ছোট আচড়া মৌজায় ৮.১৩ একর, সাদীপুর মৌজায় ৭.২১ একর, ভবারবেড় মৌজায় ১২.৫৩ একর, বেনাপোল মৌজায় ২৪.৩৯ একর, নারাণপুর মৌজায় ২.৬৫ একর।

কোদলা নদী স্বরবাংহুদা মৌজায় ১৪.৫০ একর, বোয়ালিয়া ও মানকিয়া ২১.৭৩ একর, ধান্যখোলা মৌজায় ২৫.৮৫ একর।

বেতনা নদী বুজতলা মৌজায় ২৬.৪৭ একর ও কাগজপুকুর মৌজায় ২৬.৫৬ একর।

মোট বেনাপোল তহসিল অফিসের ১৭৫.৫২ একর জমি বেদখল রয়েছে এই ভূমিদস্যুদের কাছে।  

এমএ মজিদ আরো জানান, যারা এসব জমি দখলে রেখেছে তারা অত্যান্ত শক্তিশালী। সরকারি এসব খাস জমি সেটেলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহায়তায় তারা পর্চা বের করে নিজ নামে রেকর্ড করে নিয়েছে।

শার্শার সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এখানে নতুন এসেছি। সরকারি ভূমি কে বা কারা দখল করে খাচ্ছে সেটি আমার জানা নেই। বেনাপোল তহসিল অফিসের পক্ষ থেকে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।

“আমি বিষয়টির খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ওইসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সরকারি সম্পদ দখলমুক্ত করব।” 

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল  ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খাস জমিগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নদী সেল শাখার টাস্কফোর্স কমিটির নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।