শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের কৃষ্ণাদিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয় বলে জানান মিন্টুর চাচা বাবুল মোল্লা।
মিন্টু কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের আবদুস ছালাম মোল্লার ছেলে। শুক্রবার ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলার মগড় এলাকায় সুগন্ধা নদীতে মিন্টুর লাশ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাতে লাশ বাড়ি পৌঁছলে পরিবারের সদস্যদের বিলাপে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
লাশ দাফনের সময় মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. খায়রুজ্জামানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ অগাস্ট কাওড়াকান্দি থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মা পার হয়ে মাওয়া যাওয়ার পথে মাঝনদীতে ডুবে যায় পিনাক-৬।
এ লঞ্চডুবির র্ঘটনায় মিন্টুসহ পিনাক-৬ এর ৪৯ যাত্রীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মিরন জানান, মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের সালাম মোল্লার এক ছেলে মিন্টু ও এক মেয়ে।
মিন্টু সিলেটের মধু বাজারে ছিট কাপড়ের ব্যবসা করে সংসারের খরচ চালাতেন। রোজার আগে দুর্ঘটনায় মিন্টুর পা ভেঙেছিল। ভাঙা পা নিয়ে রোজার আগেই মিন্টু বাড়ি আসেন। ঈদের আগেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ করে ৪ অগাস্ট সিলেট ফিরছিলেন।