সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর মোল্লা শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা-দোহার রুটে কোনো ধরনের বাস ও মিনিবাস চলাচল করবে না।
“কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ঢাকা থেকে দক্ষিণের পথে গাড়িতে আগুন দেয়া, ভাংচুর করা এবং গাড়ি আটক করে মুক্তিপণ আদায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো উপায় না পেয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে চারদফা দাবিতে আমরা এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছি।”
গত ৪ অগাস্ট ঢাকা-মাওয়া রুটের বেজগাঁও এলাকায় মেঘনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি বাস পুড়িয়ে দেয় এবং প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর করে।
আলমগীর মোল্লা বলেন, দুর্ঘটনার পর মেঘনা পরিবহনের কোনো গাড়ি ওই রুটে চলতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে ওই পরিবহনের ৩০টি গাড়ির প্রায় দেড়শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।
“সমস্যা সমাধানের জন্য জনপ্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় লোকজনের সাথে গত কয়েকদিন ধরে কথা বলেও লাভ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের ১৫ লাখ টাকা দিলে সমঝোতা হবে বলে মুন্সীগঞ্জের প্রভাবশালীরা জানিয়েছে। কিন্তু মালিক পক্ষ দুই লাখ টাকার বেশি দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।”
সমিতির সভাপতি জানান, এসব বিষয় বিআরটিএ, যোগাযোগ মন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রী, স্থানীয় জেলা প্রশাসন ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো লাভ হয়নি। এ কারণে ‘বাধ্য হয়ে’ তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
দক্ষিণবঙ্গ কোচ ও বাস মালিক সমিতির চার দফা দাবি হলো- নির্বিঘ্নে গাড়ি চলাচলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; আগুনে পুড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; যেসব গাড়ি পুলিশ আটক করেছে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে এবং দুর্ঘটনা ঘটলেই ক্ষতিপূরণ দাবি বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।