নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সীমান্ত এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্ত রয়েছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সীমানায় কীভাবে পাহারা দিয়ে থাকি সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে বিনিময় করতে চাই।”
ভারতে বিএসএফ ও বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ে নিয়মিত বৈঠক শেষে প্রথমবারের মতো এই শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএসএফের ওই কর্মকর্তা বলেন, বিজিবি কর্মকর্তারা সাধারণত সেনাবাহিনী থেকে আসেন। সীমান্ত প্রতিরক্ষা বিষয়ে ধারণা পেলে তাদের সহায়তা হবে।
সাধারণত দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দ্বিবার্ষিক সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলনের প্রথম দিনের বৈঠকের পর বিএসএফ সফররত বিজিবি প্রতিনিধি দলকে আজমির শরীফ বা আগ্রায় তাজ মহল ঘুরে দেখান। কখনো কখনো অমৃতসরেও যাওয়া হয়। কিন্তু এ বছর তার ব্যতিক্রম হচ্ছে।
রাজস্থানের মরু অঞ্চলে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফের পাহারার বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিতে বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যোধপুর ও জয়সালমার গেছেন।
রীতিমাফিক ওই বৈঠকের পর বিএসএফ মহাপরিচালক ডি কে পাঠক ও আজিজ আহমেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। পরে দুদেশের দুটি দল দুদিনের ‘শিক্ষা সফরে’ বের হন।
রাজনাথ বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ায় দুই বাহিনীর প্রশংসা করেন।
বৃহস্পতিবার বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে বাস্কেটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে বিএসফ জয়ী হয়েছে। সোমবার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সফর শেষ হবে।