প্রবাসীদের সহায়তা চাইলেন এম জিয়াউদ্দিন

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশবিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা মোকাবেলায় প্রবাসীদের সহায়তা চেয়েছেন দেশটিতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2014, 06:17 PM
Updated : 21 August 2014, 06:17 PM

অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই কূটনীতিক নতুন দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

জিয়াউদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না এমন কিছু লোক ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ আসছে।

“আমি আশা করছি, এ ধরনের অপপ্রচারের উদ্দেশ্য সবিস্তারে মিডিয়ায় আসবে এবং দেশপ্রেমিক প্রতিটি প্রবাসী এহেন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেয়ার আগে পাঁচ বছর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন জিয়াউদ্দিন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। আশা করছি তা অব্যাহত রাখতে প্রধান প্রধান বিরোধী দলগুলো সহায়তা দেবে।”

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মো.আশরাফুজ্জামানকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে তৎপর হবেন বলে নতুন রাষ্ট্রদূত জানান।

“সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আমি শিগগিরই যোগাযোগ করব এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার চলমান চেষ্টাকে অবশ্যই ত্বরান্বিত করব।”

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করে এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে আলোচনায় থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন জিয়াউদ্দিন।

“গত কয়েক বছরই আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়েছি। বিভিন্ন ফোরামে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হৃদ্যতাপূর্ণ আলোচনা দেখেছি।

“প্রেসিডেন্ট ওবামা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথা শুনেছেন। আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনাকে ওবামা অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। এ কারণে আমি সবসময়ই বিশ্বাস করতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর।”

নিউ ইয়র্কে প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে এবার শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বৈঠকের উদ্যোগ চালাবেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

নতুন দায়িত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, “এর আগে আমি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সে আলোকে এবারের দায়িত্বে সকলের সহযোগিতায় পালনে সচেষ্ট থাকব।”