বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সাভার সার্কেলের এএসপি রাসেল শেখের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশ হলের মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে তল্লাশি চালায়। অভিযানে হল থেকে রামদা, চাপাতি, লোহার পাইপ ও রড উদ্ধার করা হয়।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভোরে মওলানা ভাসানী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মওলানা ভাসানী হল শাখা সভাপতি শাকিল আহমেদ, সদস্য রকনুজ্জামান সবুজ, কর্মী আকিব, সুজন, জহির, মারুফ, আরিফসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
ছাত্রলীগের ভাসানী হল শাখার দপ্তর সম্পাদক দিদার হোসেনের অভিযোগ, হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিন্দ্য বাড়ইয়ের সমর্থকরা সভপাতি শাকিলের সমর্থকদের কক্ষগুলোতে হামলা চালায়।
তবে অনিন্দ্য বাড়ইয়ের সমর্থক হিসাবে পরিচিত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর নবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শাকিলের সমর্থকরাই আগে হামলা করে। তারা অনিন্দ্যকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে।”
বিকালে পুলিশের তল্লাশির পর আবার মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে হলের ভেতরে অবস্থান নেয় অনিন্দ্য বাড়ৈ গ্রুপের কর্মীরা। আর হলের বাইরে অবস্থান নিয়েছে শাকিলের সমর্থকরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছে জানিয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম বলেন, “কেউ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাইলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।”