সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের সিলেটের টুকেরবাজারে ‘অপহরণস্থলে’ নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, “মুজিবুর ও তার গাড়ি চালকের দেয়া তথ্যে গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। তাই তাদের অপহরণের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই এলাকা পরিদর্শন করে তথ্য যাচাই-বাচাই শেষে অপহরণ মামলায় জবানবন্দির জন্য তাদের আদালতে তোলা হবে।”
গাজীপুরের যে স্থান থেকে মুজিব ও সোহেলকে উদ্ধার করা হয়েছে- সেখানেও তাদের নেয়া হতে পারে বলে পুলিশ সুপার জানান।
মুজিব ও তার গাড়ি চালকের নিখোঁজের কথা জানিয়ে গত ৬ মে সুনামগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করেন মুজিবের ভাগ্নি জামাই রবিউল ইসলাম।
জিডিতে বলা হয়, মুজিব ও সোহেল ৪ মে বিকালে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর রাত সাড়ে ৮টা থেকে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে দুজনের আর কোনো সন্ধান নেই।
তাদের সন্ধান দাবিতে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিক্ষোভ হয় যুক্তরাজ্যেও।
অপহরণের সাড়ে তিন মাস পর গত সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি সেতুর কাছে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে স্বজনদের দাবি।
তারা বলছেন, মুজিব ও সোহেল টঙ্গী থেকে একটি অটোরিকশায় করে ঢাকার গুলশানে আসেন এবং এক আত্মীয়র বাসায় যান। সেই আত্মীয়ই মুজিবকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর বুধবার গুলশান থেকে গাড়িচালক সোহেলকেও উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।