আগ্রাবাদ হোটেলের সাবেক চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

ঋণপত্র খুলে পণ্য আমদানি না করে ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আগ্রাবাদ হোটেলের সাবেক চেয়ারম্যানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2014, 12:00 PM
Updated : 21 August 2014, 12:00 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৯৯৬ সালে মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সালে মামলাটি স্থগিতের আবেদন করেছিলেন আসামিরা।

“২০১২ সালের ১১ অক্টোবর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর চলতি বছরের এপ্রিলে শুনানি শুরু হয়। সেই থেকে মোট ছয় কার্য দিবসে আসামিরা উপস্থিত না হওয়ায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”

এ ‍মামলার তিন আসামি হলেন আগ্রাবাদ হোটেলের সাবেক চেয়ারম্যান ও অন্যতম মালিক এইচ খোরশেদ আলী, পূবালী ব্যাংকের সাবেক এজিএম মো. জসিম উদ্দিন ও গালফ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েটসের পরিচালক করিমুল হাসান।

আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন জানান, ১৯৮৮ সালের ১০ মে খোরশেদ আলী বিদেশ থেকে ৮ হাজার মেট্রিক টন চাল আমাদানির জন্য করিমুল হাসান পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি ভুয়া ইনডেন্ট ইস্যু করেন।

ঋণপত্রে উল্লেখিত চাল আমদানি না করে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা ব্যাংক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় ১৯৯১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সেসময়ের দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

তবে তদন্তের পর অভিযোগপত্র দেয়ার সময় আমির হোসেন ও ছলিম উল্লাহ নামের দুজনকে বাদ দেয়া হয়।

এরপর ১৯৯৬ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আবেদন করলে ১৯৯৮ সালের ১০ মার্চ মামলাটি স্থগিতের আদেশ হয়।