বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের আদালতে শুনানির জন্য উঠলে বেঞ্চ এই মত দেয়।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক শুনানিতে বলেন, “এখানে অনেক সাংবিধানিক বিষয় জড়িত। আমরা আউট অব লিস্ট করে দিচ্ছি। আপনি নিয়মিত বেঞ্চে যান।”
বেঞ্চের অপর বিচারক বলেন, “এটা আইন বা বিধিমালায় পরিণত হয়নি। এখনো প্রিমেচিউরড। অপেক্ষা করুন।”
রিটকারী মো. ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
গত ৪ অগাস্ট মন্ত্রিসভা এই নীতিমালা অনুমোদন করার পর থেকেই বিএনপি ও সাংবাদিকদের একটি অংশ এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই নীতিমালার সমালোচনায় বলেছে, এর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাই নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে সরকারের দাবি, ‘কণ্ঠরোধের’ জন্য নয়, এই নীতিমালা করা হয়েছে গণমাধ্যমের ‘কল্যাণের’ জন্য।
এই নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ অগাস্ট উচ্চ আদালতে যান ইউনুস আলী আকন্দ। ওই নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চান তিনি।
পাশাপাশি নীতিমালার বদলে আদালতের কাছে একটি ‘গাইডলাইন’ও চাওয়া হয় ওই রিটে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তথ্য সচিবকে ওই রিটে বিবাদী করা হয়।