সিপিবির সমাবেশে বোমা: ১৩ বছর পর বিচার শুরু

পল্টনে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যার ১৩ বছর পর হরকাতুল জিহাদ নেতা (হুজি) মুফতি হান্নানসহ ১৩ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2014, 07:56 AM
Updated : 21 August 2014, 08:41 AM

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দেন।

ওই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হলেও আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের কারণে আদেশ পরে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন এবং পরে একজন হাসপাতালে মারা যান।

ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার ১৩ বছর পর গত বছর ২৭ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মৃণাল কান্তি সাহা ১৩ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগ গঠনের আগে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান ও আরো পাঁচজন এ সময় আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং সুবিচার প্রার্থনা করেন।

আসামিদের মধ্যে মুফতি হান্নান, মাইনুদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির, শওকত ওসমান ও মশিউর রহমান কারাগারে রয়েছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন- আব্দুল হাই, শফিকুর রহমান, নুর ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, মুহিবুল্লাহ মুত্তাকীন, আনিসুল ইসলাম মোরসালীন, রফিকুল ইসলাম মিরাজ।

পল্টন ময়দানে বোমা হামলার ঘটনায় নিহতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার হিমাংশু মণ্ডল, খুলনার রূপসা উপজেলার আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরার আবুল হাসেম, মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন এবং খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস।

আসামিদের মধ্যে মাইনুদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয়েছে ১০৭ জনকে।

সিপিবির তখনকার সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করার দুই বছর পর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন। তিনি আদালতকে বলেন, তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগসূত্র পেয়ে ২০০৫ সালে আবার মামলাটির তদন্ত শুরু হয়। সাত তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে অবশেষে গত বছর নভেম্বরে অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়ে।

এ মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং রমনায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলারও আসামি।