ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
আটকরা হলেন, ছাত্রমৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রদীপ মার্ডি, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, সাবেক সভাপতি সুমন অগাস্টিন সরেন ও ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফারুক ইমন। এরা সবাই প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা।
জোটের নেতাকর্মীরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। মানববন্ধন থেকে ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ জানানো হয়।
এক পর্যায়ে সিরাজুল ইসলাম মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেন। ব্যানার কেড়ে নেয়ার পর প্রগতিশীল ছাত্রজোটের চার নেতাকে আটক করে পুলিশ।
বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, “এর আগে অন্য সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রশাসন অন্যায়ভাবে বাধা দিয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের চার নেতাকে আটক করেছে। আমরা ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার নিন্দা জানাই।”
রাজশাহী মহানগরের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে তারা কর্মসূচি করছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদের কর্মসূচি বন্ধ করতে বললেও তারা শোনেনি। বেআইনি কর্মসূচি বন্ধ করতে চারজনকে আটক করা হয়েছে।”
আটককৃতদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে। তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কর্মসূচি করছিল তাই বাধা দেয়া হয়েছে।”
তাদেরকে সাময়িকভাবে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হতে পারে।”
এদিকে চার নেতাকর্মীকে আটকের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোট। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।