১১ ঘণ্টা পর মাওয়ায় পারাপার শুরু

তীব্র স্রোত ও পদ্মার আকস্মিক ভাঙ্গনে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে ১১ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে পারাপার চালু হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2014, 04:23 AM
Updated : 20 August 2014, 08:38 AM

বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সিরাজুল হক জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে ১১টি ফেরির চলাচল শুরু হয়।

এর আগে স্রোত ও আকস্মিক ভাঙ্গনে মাওয়ার ৩ নম্বর রো রো ফেরিঘাট পদ্মায় বিলীন হয়ে গেলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার জন্য মাওয়া ঘাটে কোনো ফেরি নোঙ্গর করে না রেখে কাওড়াকান্দি ঘাটে ফিরিয়ে নেয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ কে এম আশিকুজ্জামান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পদ্মার তীব্র স্রোত ও ভাঙন এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, ফেরি পারাপার সচল রাখার মতো অবস্থা ছিল না।

তিনি জানান, ৩ নম্বর রো রো ফেরিঘাট থেকে শুরু করে লঞ্চঘাটের দিকে ৪০ ফুট এলাকা এবং এর আশপাশের আরো ৬০টি দোকানঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।

এদিকে রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদীর দুই তীরে পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারে অপেক্ষায় আটকা পড়ে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় বুধবার সকাল থেকে কে-টাইপ ও টানা ফেরিসহ মোট ১১টি ফেরি বিশেষ ব্যবস্থায় চালু করা হয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সিরাজুল হক।

তিনি বলেন, “পারাপার শুরু হলেও তীব্র স্রোতের কারণে দেড়-দুই ঘণ্টার পথ পার হতে পাঁচ-সাত ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। মাঝ  নদীতে স্রোত তীব্র হওয়ায় টানা ফেরিগুলোকে (ডাম্প ফেরি) সাহায্য করতে চারটি অতিরিক্ত টাগবোট কাজ করছে।

যাত্রী পারাপারে এ নৌপথের বড় লঞ্চগুলো চলাচল করলেও তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে ৩৫টি ছোট লঞ্চের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ অবস্থায় মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চ ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ আলী শুধু যাত্রী পারাপার করছে বলে বিআইডব্লিউটিসির নৌ কর্মকর্তা আহম্মদ আলী জানান।

কাওড়াকান্দির তিনটি ঘাটই সচল রয়েছে জানিয়ে সিরাজুল হক বলেন, “সকাল ৮টা ২২ মিনিটে কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে ফেরি ডাপলু ছেড়ে যায়। এর পর একে একে ফেরি লেন্টিং ও থোবালসহ অন্য সব ফেরি যানবাহন নিয়ে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে।"

বিআইডব্লিউটিসির নৌ কর্মকর্তা আহম্মদ আলী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মাওয়া ১ নম্বর ও ২ নম্বর ঘাটে কে-টাইপ ফেরি কেতকি, কাকলি ও করবী এবং টানা ফেরি রামশ্রী ও রানীক্ষেত এসে পৌঁছেছে।  

এদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বুধবার সকালে মাওয়া ঘাট পরিদর্শন করে দ্রুত রো রো ফেরিঘাট পুনস্থাপন করার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে করনীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মাওয়ার পদ্মা রেস্ট হাউজে বৈঠকও করেন তিনি।

বৈঠকের পর বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা আহম্মদ আলী দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নদী ভাঙ্গন চললেও সার্বিক বিবেচনায় রো রো ফেরি পন্টুনটি মাওয়ার ২ নম্বর ঘাটে স্থাপনের চেষ্টা চলছে।