আশিকুজ্জামান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে পদ্মার আকস্মিক ভাঙনে মাওয়ার ৩নং রো রো ফেরিঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তীব্র স্রোতে পাশের আরো নয়টি দোকানঘরও বিলীন হয়ে যায়।
পদ্মার তীব্র স্রোত ও ভাঙন এতটাই ভয়ঙ্কর যে, ফেরি সার্ভিস সচল রাখার মতো অবস্থা নেই।
ভাঙনে ক্রমেই আশপাশের এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নতুনভাবে ঘাট স্থানান্তরের পর আবার ফেরি সার্ভিস সচল করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, মাওয়া ও কাওড়াকান্দি প্রান্তে দুইশ করে মোট চারশ যান আটকা পড়েছে।
মাওয়ায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খালিদ হাসান জানান, মাওয়ায় পদ্মা ভয়ঙ্কর মূর্তি আকার ধারণ করেছে। তাই ঘাটের সকল নৌযান এবং পাড়ের সকল প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সর্তক করা হয়েছে। লোকজন ঘাটের পাশের স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরি সার্ভিস পুনরায় চালু করতে সকল প্রচেষ্টা চলছে। বিষয়টি জরুরি বার্তায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবগত করা হয়েছে।