মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক এ তারিখ ঠিক করেন বলে ওই আদালতের পেশকার ইফতেখার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত থেকে নথিটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে এ আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে বিচারক মামলাটির অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু করবেন। অথবা বিচার শুরুর জন্য অন্য কোনো বিচারকের কাছে নথিপত্র পাঠিয়ে দেবেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন ঢাকার পল্লবী থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। গত ২৮ জানুয়ারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাত ছাত্রসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।
আসামিরা হলেন- জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন, ঢাকার খিলক্ষেত চৌধুরীপাড়ার মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ (২২), ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পোড়াপাড়া গ্রামের মো. এহসান রেজা রুম্মান (২৩), ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামের মাকসুদুল হাসান অনিক (২৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কলেজপাড়া এলাকার নাঈম ইরাদ (১৯), চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া গ্রামের নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), ঢাকার কলাবাগান থানার ভুতেরগলির সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০) এবং ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার জয়লস্করের রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এদের মধ্যে জসীম বাদে অন্য সাতজন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের বহিষ্কার করে বেরসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আসামিদের মধ্যে রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া বাকি সবাই কারগারে, রানা পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগপত্রে ৫৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।