মঙ্গলবার ফেনীর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক দেওয়ান শফি উল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. খাইরুল আমিন এ ব্যাপারে পৃথক দুটি আদেশ দেন।
বিচারক দেওয়ান শফি উল্লাহ নাকচ করেন জাহিদুল ইসলামের জামিন আবেদন এবং মো. খাইরুল আমিন নাকচ করেন অপর ২৯ আসামির জামিন আবেদন।
ফেনীর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুন জানান, আসামিদের আদালতে হাজির করার পর তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে আসামিদেরকে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. খাইরুল আমিন।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, মামলার এজহারভুক্ত একমাত্র আসামি বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনার (মিনার চৌধুরী) ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।
সুস্থ হলে তাকে ফেনী কারাগারে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।
একরাম হত্যা মামলায় পুলিশ ও র্যাব এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ১৬ জন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২০ মে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন। পরে নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।