র‌্যাব-কোস্ট গার্ড হত্যার দায়ে ৬ জনের ফাঁসি

নয় বছর আগে বাগেরহাটে র‌্যাব ও কোস্ট গার্ডের তিন সদস্যকে হত্যার দায়ে ছয় ডাকাতের ফাঁসি ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2014, 07:11 AM
Updated : 19 August 2014, 07:11 AM
বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসি দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের রফিকুল শেখ, কুদ্দুস শেখ, ইদ্রিস শেখ, বাবুল শেখ এবং খাল খুলিয়া গ্রামের আলকাত ফকির ও ইলিয়াস শেখ।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাবগাছিয়া গ্রামের আকরাম শেখ, আলম শেখ, বাদশা শেখ, জামাল শেখ, কামাল ওরফে সুমন শেখ, রিয়াজুল শেখ ও হোগলা ডাঙ্গা গ্রামের আসলাম শেখ।

অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় নান্না শেখ ও মিজানুর রহমান নামে দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসামিদের মধ্যে খালাস পাওয়া দুইজন ছাড়া বাকিরা সবাই পলাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন পশুর নদীতে অভিযানে যায় র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের একটি দল।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হলে এক পর্যায়ে ডাকাতদের কোনঠাসা করে তাদের ট্রলারে উঠে পড়েন র‌্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।

ট্রলারে ডাকাতদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে আসামিরা কোস্টগার্ড সদস্য এমএইচ কবির, এমএ ইসলাম ও র‌্যাব সদস্য পিসি কাঞ্চনকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

পরদিন পশুর নদী থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ওই ঘটনায় র‌্যাব-৬ এর তৎকালীন উপ সহকারী পরিচালক মহসিন আলী অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মংলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে এ মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি বাদশা ও জামাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় এবং বাকিদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেন। জামিন পাওয়ার পর তারাও পালিয়ে যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মংলা থানার তৎকালীন এসআই মো. নাসির উদ্দিন শেখ ২০০৭ সালের ৮ মে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য শোনার পর আদালত রায় ঘোষণা করে।