চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া: পানিতে জীবাণু

পাইপ লাইনে পৌরসভার সরবরাহ করা জীবাণুযুক্ত পানি পান করে কয়েকশ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2014, 03:42 PM
Updated : 8 August 2014, 03:42 PM

ঢাকা ও খুলনা থেকে আসা একাধিক মেডিকেল টিম ও স্থানীয় উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক থেকে শুক্রবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, ক্রমাগত সচেতনতামূলক প্রচারের ফলে পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান থেকে বিরত হওয়ার পর হাসপাতালে রোগী আসার হার কমে গেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।

চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম জানান, গত ১ অগাস্ট থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ডায়রিয়া রোগ দেখা দেয়। এরপর প্রতিদিনই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

এ অবস্থায় ঢাকা ও খুলনা থেকে একাধিক বিশেষজ্ঞ দল আসে। পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পরীক্ষাসহ সরেজমিনে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে পরিদর্শনে আসা এবং স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত সবকটি দল একমত হয় যে, পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করেই পৌর এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

তিনি জানান, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ১১৬ জন।

মেডিকেল টিমের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা থেকে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ, স্বাস্থ্য বিভাগ খুলনার পরিচালক ডা. মামুন পারভেজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ডা. মোস্তাক হোসেন ও ডা. ফারহানা আক্তার, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর আলী ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন।

গত ১ অগাস্ট চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের মসজিদ পাড়া, বাগান পাড়া ও মল্লিকপাড়া এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে থাকে। এরপর কয়েকদিনে মাস্টার পাড়া, পুরাতন পাড়া, জিনতলা পাড়া, মুক্তিপাড়া প্রভৃতি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

পৌর এলাকার পানি পান বন্ধ করার পর বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালে রোগী আসার হার কমেছে।

বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডা. মাসুদ রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় গত শুক্রবার রাত থেকে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ দেখা দেয়।

তবে বর্তমানে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী আসার চাপ কমে গেছে।