ভারতীয় চ্যানেল দেখানো বন্ধের দাবিতে রিট

বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে রিট করেছেন এক আইনজীবী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2014, 10:26 AM
Updated : 7 August 2014, 10:26 AM

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার এই আবেদন করেন। এতে বাদী হিসাবে রয়েছেন, শাহিন ও লাইলী নামের দুইজন।

বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রাচার বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- রিটে তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে।

এতে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরির্দশকে।

এই রুল জারির পর চূড়ান্ত শুনানিতে আদালত তা মঞ্জুর করলে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে।

রুলের পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টার জলসা, জি বাংলা ও স্টার প্লাস এর সম্প্রচার সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা চেয়েছেন বাদী।

এখলাস উদ্দিন বলেন, “আগামী রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের আদালতে মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে।”

বাংলাদেশে সব ধরনের ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো বন্ধ করতে গত ৩ অগাস্ট সরকারকে উকিল নোটিস দিয়েছিলেন এই আইনজীবী। তথ্য মন্ত্রী, তথ্য সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে ওই নোটিসের অনুলিপি পাঠানো হয়।

নোটিস অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীরা ব্যবস্থা না নেয়ায় এই রিট করা হয়েছে বলে আবেদনকারী জানান।

নোটিসে বলা হয়, ভারতীয় বিভিন্ন চ্যানেল বাংলাদেশে দেখানো হলেও ভারতে বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল দেখানো হয় না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় চ্যানেলের ‘অবাধ সম্প্রচারের’ কারণে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো দর্শক হারাচ্ছে।

“দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। এতে কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সর্বশেষ ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত একটি সিরিয়ালের একটি চরিত্রের পোশাকের জন্য ‍দুইজনের প্রাণও গেছে।”

গৃহিনী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি কাজের বুয়ারাও এসব চ্যানেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন মন্তব্য করে নোটিসে বলা হয়, “কাজের বুয়াদের এসব চ্যানেল দেখতে না দিলে তারা কাজ করতে চায় না।”

‘পাখির প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে দৈনিক আমাদের সময়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে উদ্ধৃত করে ওই নোটিস পাঠানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’ চরিত্রের অভিনেত্রীর নামে বাজারে ছাড়া পোশাক এবার ঈদে জমজমাট ব্যবসা করে।

“নতুন স্ত্রীর বায়না অনুযায়ী ‘দামী’ এই পোশাক কিনে দিতে না পারায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নন্দতেঘরী গ্রামের শাহীন নামে এক যুবক আত্মহত্যা করে। এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নূরজাহান নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলশিক্ষার্থীও একই পোশাক না পেয়ে আত্মহত্যা করে।”

নোটিসের মতো একই বক্তব্য রিটেও উল্লেখ করা হয়েছে।