আর এর কারণ হিসাবে সংস্থাটি বলছে, সীমানা পুনর্নির্ধারণে কয়েকবার তাগিদ দিয়েও সরকারের কোনো সাড়া পায়নি।
চলতি অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের বাজেটেও ডিসিসি নির্বাচনের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নির্বাচন কমিশনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগেও তো এবছর ভোট করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে সরকারের এ মেয়াদে আর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।”
কমিশনের গত জুন মাসের সভার আলোচ্যসূচিতে ‘ডিসিসি নির্বাচন’ ইস্যুটি থাকলেও তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আলোচনাই হয়নি।
২০০২ সালের এপ্রিলে ভোটের পর ২০০৭ সালের মে মাসে অবিভক্ত ডিসিসির নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সময় দুইবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হলেও আইনি জটিলতায় সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
২০১১ সালের ৩০ নভেম্বরে ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণ ও ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর নামে দুই ভাগ হয় ডিসিসি।
দুই ভাগ করার পর এ পর্যন্ত পঞ্চম দফা অনির্বাচিত প্রশাসক দিয়ে চলছে ডিসিসি, যদিও স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আসছে বিভিন্ন মহল।
কিন্তু পরবর্তীতে তেজগাঁও সার্কেলভুক্ত সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের ১৩টি পাড়া-মহল্লা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করায় সীমানা পুনর্নিধারণের প্রয়োজন পড়ে।
২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের ইসি তফসিল ঘোষণা করলেও আইনি জটিলতায় তা স্থগিত হয়ে যায়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০১২ সালের ২৪ মে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
২০১৩ সালের মে মাসে নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে নতুন করে তফসিল ঘোষণার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে একটি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সীমানা জটিলতায় নির্বাচন আবারো ঝুলে যায়।
ডিসিসি’র ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ জানান, ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে জটিলতা রয়েই গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগকে তাগিদ দেয়া হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। সীমানা করে পুনর্নির্ধারণ হলে নির্বাচন নিয়ে কোনো জটিলতা থাকতো না।
বাজেটে নেই বরাদ্দ
এদিকে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য বাজেট প্রস্তাবও রাখেনি নির্বাচন কমিশন। তবে মেয়াদোত্তীর্ণের আগে ২০১৫ সালের জুনের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট করতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “ডিসিসি’র বিষয়ে কোনো বাজেট প্রস্তাব নেই। দুই ভাগে ভোট করতে অন্তত ৪০ কোটি টাকার দরকার পড়বে। কমিশন বলছে, যখনই ভোট হবে তখন অর্থ পেতে কোনো অসুবিধা হবে না, ওই সময়ই দেখা যাবে।”