শুক্রবার রাত ১০টায় কনস্টেবল মারুফ ও ইমরানকে বরখাস্ত করা হয় বলে পুলিশ লাইন্সের পরিদর্শক আব্দুল করিম জানান।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিও করা হয়েছে।
স্থানীয় দৈনিক যুগের আলোর মহানগর প্রতিনিধি হারুণ অর রশীদ বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ লাইন্সের সামনে কিছু লোক দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো। এসময় সেখানে জটলা সৃষ্টি হওয়ায় লাইন্সের কয়েকজন কনস্টেবল সাদা পোশাকে গিয়ে জটলাকারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
“ধাক্কায় কেউ কেউ পড়েও যান। আমি ও দৈনিক দাবানলের মহানগর প্রতিনিধি শুলফুল ইসলাম এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করি। কনস্টেবলরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের পুলিশ লাইন্সের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন এবং মারপিট করেন।”
তিনি জানান, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হলে তিনি রাত ৯টায় পুলিশ লাইন্সে এসে উভয়পক্ষের কথা শুনেন এবং ক্যামেরা ফিরিয়ে দেন। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন।
কনস্টেবল মারুফ ও ইমরান সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তাদের দাবি, পুলিশ লাইন্সের ভেতরে নিয়ে গিয়ে দুই সাংবাদিককে ছবিগুলো মুছে ফেলার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তবে তারা কোনো সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলেননি।