শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে কোতোয়ালি থানার ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক জানান।
সকালে শহরের ঝিলটুলী এলাকার গৌরাঞ্জলি বালা ভবন থেকে পান্নার স্ত্রী জয়ন্তী সরকারের (৩৭) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় শহরতলির অম্বিকাপুর শ্মশানে তার শেষকৃত্য হয়।
এরপর সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মনোজ সরকার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে বোনকে হত্যার জন্য পান্না বালাকে প্রধান আসামি করা হয় বলে ওসি মোহসিনুল জানান।
মামলায় পান্না বালার সঙ্গে তার মা অঞ্জলি বালা ও বোন তৃপ্তি বালাকে আসামি করা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
পান্না বালা সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিচতলার ঘরে তারা ঘুমাতে যান। ভোর রাত ৪টার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে দেখেন জয়ন্তী বসার ঘরের খাটে ঘুমাচ্ছেন।
সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে জেগে জয়ন্তীকে বসার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তিনি পুলিশে খবর দেন।
পান্না বলেন, “লেখাপড়া নিয়ে মেয়ে কস্তুরীকে বকাঝকা করার কারণে গত দুদিন ধরে মেয়ের সঙ্গে জয়ন্তীর কথা বলা বন্ধ ছিল।
“বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমাবার আগে আক্ষেপ করে জয়ন্তী এর জন্য আমাকে দায়ী করে। মেয়ের জ্বর হওয়ায় ওইরাতে সে দোতলায় ঠাকুমার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল।”