শুক্রবার বিকালে ‘রানা প্লাজা গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন’ এর উদ্যোগে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে এ কর্মসূচিতে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া ধসে পড়া রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত, আহত-নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিও করা হয়।
বক্তারা বলেন, তোবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান তাজরীন ফ্যাশনসে পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদেরকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ রানা প্লাজার ভিতরে জোর করে শ্রমিকদের ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কিন্তু এসব ঘটনায় মিডিয়ার চাপে এবং শ্রমিকদের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে কারখানা মালিকদের গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।
তারা বলেন, তোবা গ্রুপের শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানাসহ বিজিএমইএ-এর সামনে অনশন অব্যাহত রাখলেও তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখাচ্ছে না বিজিএমইএ কিংবা সরকার।
তোবা গ্রুপের শ্রমিকদের দাবি পূরণসহ তাজরীন ফ্যাশনস ও রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা না করলে মহাসড়ক অবরোধসহ বড় ধরনের কর্মসূচির হুমকি দেন বক্তারা।
রানা প্লাজা গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জলি তালুকদার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ঢাকা জেলা নেতা আজম খান, উদীচীর সাবেক সম্পাদক সাজেদা বেগম সাজু, কৃষক সমিতির ঢাকা জেলা সম্পাদক কাজী ফিরোজসহ রানা প্লাজার আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকের স্বজনেরা।
ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে বকেয়া বেতন আর বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিলেন তোবা গ্রুপের শ্রমিকরা। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও তাতে সমাধান হয়নি।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে বাড্ডার হোসেন মার্কেট এলাকায় তোবা গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন প্রায় ৫শ’ শ্রমিক।