চট্টগ্রামের চার রাস্তায় হচ্ছে কংক্রিটের ঢালাই

বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চারটি সড়কে বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটের ঢালাই দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মিন্টু চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2014, 02:07 PM
Updated : 1 August 2014, 02:07 PM

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থ সহায়তায় মহানগরের চার সড়কের মোট ১৭ কিলোমিটার এলাকা কংক্রিটের ঢালাই দেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।

প্রাথমিকভাবে নগরীর এয়ারপোর্ট রোডের পাঁচ, খুলশীর জাকির হোসেন রোডের চার, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের দুই ও পোর্ট কানেকটিং রোডের ছয় কিলোমিটার এলাকায় কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হবে।

সিসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল হুদা বলেন, “সড়কে কংক্রিটের ঢালাইয়ের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে এ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। চলতি অর্থবছরেই কাজ শুরু হবে।”

চার সড়কের ১৭ কিলোমিটার কংক্রিট ঢালাইয়ে প্রায় ১৭৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

ফাইল ছবি

এর মধ্যে এয়ারপোর্ট সড়কের জন্য ৩০ কোটি, জাকির হোসেন সড়কের জন্য ২২ কোটি, পোর্ট কানেকটিং সড়কের জন্য ৮০ কোটি এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ঢালাইয়ে ৪১ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী মনিরুল বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং জমে থাকা পানিতে বিটুমিনের সড়কগুলোর উপরের অংশ দ্রুত উঠে গিয়ে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয় এবং জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়ে।

“অন্যদিকে সিমেন্ট ও কংক্রিটের মিশ্রণের ঢালাইয়ের সড়ক দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকে এবং অতিরিক্ত বর্ষা ও জলাবদ্ধতায় নষ্টও হয় কম।”

পর্যায়ক্রমে নগরীর অন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোয়ও বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটের ঢালাই দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ফাইল ছবি

সিসিসির প্রকৌশল বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বন্দরনগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার রাস্তার  ৫০০ কিলোমিটার বিটুমিন-পাথরের কার্পেটিং করা। এছাড়া ১০০ কিলোমিটার রাস্তায় কংক্রিটের ঢালাই এবং তার সমপরিমাণ ইটের ও কাঁচা রাস্তা রয়েছে।

প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চল জলাবদ্ধ হয়ে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি এসব সড়ক মেরামতে প্রতিবছরই বড় অংকের টাকা খরচ হয়।

এ বছরও বর্ষা মৌসুমে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নগরীর ১০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড়শ কোটি টাকার মতো বলে প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে।