সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বরযাত্রীবাহী একটি বাস রেল লাইনে উঠে পড়ে। এতে ১১ জন নিহত ও অন্তত ৫৬ জন আহত হন।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে লাইনের ওপর পড়ে থাকলে ওই সময়ই খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
খবর পেয়ে পাকশী থেকে রেলের বিভাগীয় ম্যানেজার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। খুলনা থেকে রিলিফ ট্রেন ঝিনাইদহে পৌঁছালে শুরু হয় উদ্ধার কাজ।
বাসটি সরিয়ে নেয়ার পর বেলা ১১টা ৪০ এ আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয় বলে রেলওয়ে পশ্চিম জোনের জিএম আবদুল আওয়াল মিয়া জানান।
দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
এছাড়া বারোবাজার রেল স্টেশনের মাস্টার ও রেল ক্রসিংয়ের গেইটম্যানকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।