স্টেশন মাস্টার ও গেইটম্যান বরখাস্ত, দুটি তদন্ত কমিটি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ট্রেন-বাস সংঘর্ষের ঘটনায় বারোবাজার রেল স্টেশনের মাস্টার ও রেল ক্রসিংয়ের গেইটম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।   

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2014, 07:23 AM
Updated : 1 August 2014, 01:48 PM

দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।

সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস শুক্রবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে বারোবাজার রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বরযাত্রীবাহী একটি বাস রেল লাইনে উঠে পড়ে। এতে ১১ জন নিহত ও অন্তত ৫৬ জন আহত হন।

দুর্ঘটনার কারণে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকে।

পশ্চিম রেলের বিভাগীয় ম্যানেজার (পাকশী) মোশাররফ হোসেন জানান, বারোবাজারের স্টেশন মাস্টার আবু সানিয়াব ও গেইটম্যান আবদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ট্রেন এলে রেলক্রসিংয়ে যান চলাচল বন্ধের জন্য ‘ব্যারিয়ার’ থাকলেও ঘটনার সময় সেটি নামানো হয়নি। দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান আবদুর রহমানও সে সময় উপস্থিত ছিলেন না।

দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পশ্চিম রেলের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলের জিএম আবদুল আওয়াল মিয়া।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে বলে জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

রাতে কালীগঞ্জের সাকো মোথনপুর গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বরযাত্রীবাহী বাসটি শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামে ফিরছিল।

বর ও কনে ছিলেন সামনের একটি মাইক্রোবাসে। তাদের গাড়ি রেললাইন পার হয়ে যাওয়ার পরপরই পেছনে বরযাত্রীদের বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

ট্রেনের ধাক্কায় বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ওই অবস্থায় ট্রেনটি প্রায় আধা কিলোমিটার পথ বাসটিকে ঠেলে নিয়ে থেমে যায় বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান।