নাটোরে ট্রেনের টিকেট কাটা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩

নাটোরের লালপুরে ট্রেনের টিকেট কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2014, 06:17 AM
Updated : 1 August 2014, 09:33 AM

লালপুর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালপুর উপজেলায় ঈশ্বরদী বাইপাস রেলস্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলটি রেল পুলিশের অধীন। আমরা তাদের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি।”

সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসক মোমিন উদ্দিন। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে ট্রেনের আগাম টিকেট কাটা নিয়ে স্থানীয় ডহরশোলা গ্রামের চা বিক্রেতা মোতালেব হোসেনের সঙ্গে ঈশ্বরদী লোকোশেড এলাকার আব্দুর রাজ্জাক ও হাফিজুল ইসলামদের হাতাহাতি হয়। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক আহত হন।

এ খবর পেয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজ্জাকের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে স্টেশন এলাকায় এসে স্থানীয় লোকজনের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং অন্তত ১৩ জন আহত হন।

খবর পেয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ ও লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে নেয়ার পথেই ডহরশোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জীবন হোসেনের (২৮) মৃত্যু হয়। আর ভর্তি করার পর মারা যান একই গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে রানা হোসেন (২৫)।

রানার মামা জুলমত হোসেনকে (২৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনিও মারা যান। 

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোমিন উদ্দিন বলেন, “ধারালো অস্ত্র ও মাথায় লাঠির আঘাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”

আহত অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টিকেট কাটার লাইনে দাঁড়ানোর সময় চা বিক্রেতা মোতালেব হোসেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগা নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। পরে শহর থেকে মাস্তানরা এসে খুন-খারাবির ঘটনা ঘটায়। ওই সময় স্টেশনে পুলিশ ছিল না।” 

লালপুর থানার ওসি আব্দুল হাই তালুকদার বলেন, “পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”