হাই কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ জুলাই আদালত জামিনের এই আদেশ দিলেও তার অনুলিপি বের হয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে পারেননি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
ওই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বাশার ভাণ্ডারি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন দেলোয়ারকে স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না- এই রুল দিয়ে আদালত তাজরীনের একটি মামলায় তাকে দুই মাসের জামিন দিয়েছে।”
দেলোয়ার মুক্তি পাচ্ছেন কি-না এমন প্রশ্নে শফিউল বাশার বলেন, “লিখিত আদেশ ছাড়াতো মুক্তি হবে না। ২৪ জুলাই এই জামিন হলেও লিখিত আদেশ বের হয়েছে কিনা- সেটা বলতে পারব না।”
জামিন আবেদনে দেলোয়ারের পক্ষে শুনানি করেন এএম আমিন উদ্দিন।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং দুই শতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন।
ওই ঘটনার মামলায় গত ২২ ডিসেম্বর তাজরীনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারসহ ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। তাতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ এবং ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়।
তাজরীন ফ্যাশনস ছাড়া উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটে তোবা গ্রুপের অন্য পাঁচটি কারখানা সচল রয়েছে। এসব কারখানায় ১ হাজার ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে কয়েকদিন আগে থেকেই বিক্ষোভ করে আসছিলেন এই শ্রমিকরা।
গার্মেন্ট মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ বকেয়া পরিশোধের জন্য কয়েক দফা সময় দিয়েও ব্যর্থ হলে শ্রমিকরা ঈদের আগের রাত থেকে অনশন শুরু করেন।
অনশনরত শ্রমিকরা অভিযোগ করে আসছিলেন, দেলোয়ারকে জেল থেকে বের করে আনতেই মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন আটকে রেখেছে।
শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতার আংশিক পরিশোধের জন্য আরো এক সপ্তাহ সময় চেয়ে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মান্নান কচি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেলোয়ার হোসেনের জামিন হয়ে গেলেও সমস্যা মিটে যাবে।