বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অমূল্য কুমার সরকার ওই গৃহবধূর জবানবন্দি গ্রহণ করে তা সরাসরি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নকলা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম ও তার ছেলে কাইয়ুম সরকার।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য লাভলীর ওপর নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন তার শাশুড়ি কোহিনুর বেগম। এক পর্যায়ে স্বামী কাইয়ুম সরকারও একটি ওষুধ কোম্পানির চাকরি মায়ের সঙ্গে যোগ দেন। তাদের নির্যাতনে অতীষ্ঠ হয়ে মাঝে মধ্যেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামী-শাশুড়িকে দিতে হয়েছে লাভলীর। এক পর্যায়ে নিজের সঞ্চিত নগদ এক লাখ টাকা ও ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারও তাদের হাতে দিতে বাধ্য হন লাভলী। রোববার রাত ১০টার দিকে আবারো যৌতুক দাবি করে না পেয়ে লাভলীকে মারধর করে তার ছয় বছরের শিশু সন্তানসহ বাসা থেকে বের করে দেন তারা।