চুয়াডাঙ্গায় বিয়ে রেজিস্ট্রি না করায় কারাগারে কাজি

বিয়ের পর কাবিননামা রেজিস্টি না করায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তিন সহযোগীহ এক কাজিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2014, 03:22 PM
Updated : 31 July 2014, 03:22 PM

তারা হলেন- ২নং ওয়ার্ডের কাজি নাসিরউদ্দিন, তার সহযোগী আকরাম হোসেন, আব্দুল হালিম ও নাজমুল হক হিরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিপ্লব গোস্বামী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ফুলবাড়ি গ্রামের মো. শিপন আলীর মেয়ে শিরিনা খাতুনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার শুনানি করে এ আদেশ দেন তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শিরিনার স্বামী ফুলবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমান, তার বাবা শহিদুল ইসলাম ও মা কোহিনূর বেগম গত ৭ মার্চ যৌতুকের দাবিতে তাকে মারধর করে।

এমামলায় গত ১ মে পুলিশ হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। গত ৩ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে হাবিবুর অন্তবর্তীকালিন জামিন পায়।

জামিনের শুনানির সময় হাবিবুরের পক্ষে তার কৌঁসুলি দাবি করেন, শিরিনার সঙ্গে হাবিবুরের আদৌ বিয়ে হয়নি। জাল কাবিননামা তৈরি করে হাবিবুরকে ফাঁসানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এই মামলায় আসামি হাবিবুর রহমানের অন্তবর্তীকালীন জামিনে থাকার বিষয়ে আরো শুনানি এবং বিয়ের কাজি ও তার সহযোগীদের আদালতে হাজিরার দিন ঠিক ছিল।

বিচারকের প্রশ্নের জবাবে কাজি নাসিরউদ্দিন বলেন, তিনি এবিয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নন। তার সহযোগী আকরাম হোসেন তার সিল ও স্বাক্ষর জাল করে কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি সরবরাহ করেছে।

নাজমুল হক হিরা বলেন, তিনি মৌলভী হিসেবে এই বিয়ে পড়িয়েছিলেন এবং সেসময় কাজির সহযোগি আকরাম হোসেন ও আব্দুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন বলেন, আদালতে কাজি এবং তার সহযোগীদের বক্তব্যে প্রতীয়মান হয় যে, শিরিনা খাতুন ও হাবিবুর রহমানের মধ্যে বিয়ে হলেও তা রেজিস্ট্রি হয়নি। বরং আসামি হাবিবুরের সাথে যোগসাজশ করেছেন কাজী ও তার সহযোগীরা।