ঈদের ছুটির পর একদিন অফিস শেষে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে অনেকেই বাড়তি একদিন ছুটি নিয়ে আরো তিন দিন স্বজনদের সঙ্গে কাটিয়ে আসার সুযোগ নিয়েছেন।
লোক চলাচল তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় ঢাকার রাস্তাতেও এখনো আগের মতো যানজট ফেরেনি।
বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস-আদালত খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম।
সকালে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ অফিসকক্ষই ফাঁকা।যারা অফিসে এসেছেন, তারাও একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি আর কুশল বিনিময় করে ছুটির আমেজে সময় কাটাচ্ছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এমনিতেই ঈদের পর প্রথম কার্যদিবসে উপস্থিতির হার কম থাকে। এবার অনেকে বৃহস্পতিবারও ছুটি নেয়ায় উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশেরও কম।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সকালে নিজ নিজ দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ৯টার পর নিজের কার্যালয়ে এসে ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের কাছে দাপ্তরিক কাজের খোঁজ-খবর নেন বলে তার প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী জানান।
ঈদের তিন দিন ছুটিতে যান চলাচল কমে যাওয়ায় রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসেও রাজধানীতে গণ পরিবহন চলছে খুবই কম।
আগের তিন দিনের মতো বৃহস্পতিবারও রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অটো রিকশা এবং রিকশার দখলে।
যাত্রাবাড়ী থেকে ফার্মগেটে আসা মো. শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাস পেতে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তবে রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত চলে আসতে পেরেছি।”
রাস্তার পাশের অধিকাংশ দোকান-পাট বৃহস্পতিবারও বন্ধ দেখা যায়। খোলেনি বেশিরভাগ হোটেল-রেঁস্তোরাও।
মহাখালীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের টিকিট মাস্টার তোফাজ্জল বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ফেরত আসা মানুষের চাপ কম। শুক্রবার ও শনিবার চাপ বাড়তে পারে।”
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে মূলত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বাস ছাড়ে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের কিছু বাসও ছাড়ে এই টার্মিনাল থেকে।
বগুড়াগামী টি আর ট্রাভেলসের কাউন্টারে দায়িত্বরত এনামুল বলেন, “বৃহস্পতিবার মানুষ ঢোকা শুরু করলেও শুক্রবার ও শনিবার ঢাকায় আসা যাত্রীর চাপ বেশি থাকবে।”
দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় চলাচলকারী এ কে ট্রাভেলস-এর গাবতলী কাউন্টার ম্যানেজার আসাদুল ইসলাম বলেন, “শুক্র ও শনিবার ঢাকায় আসা যাত্রীদের চাপ বেশি থাকবে বলে আমাদের বেশিরভাগ গাড়িই এখন ঢাকার বাইরে। চাপ সামলাতেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”