নিহত খানজালা মিয়ার (৬৫) বাড়ি বাঞ্ছারামপুরের ছয়আনি গ্রামে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি অংকুমার জানান, উপজেলার ছয় আনি গ্রামে ঈদের জামাতে দাঁড়ানো নিয়ে দুই ছেলের কথা কাটাকাটি হয়।
এর জেরে বুধবার দুপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
গুরুতর আহত ১৫ জনকে ঢাকায় নেয়ার পথে খানজালা মিয়ার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এএসপি (সদর) তাপস ঘোষ জানান, উপজেলার দারমা গ্রামে ঈদের জামাতে ইমামতি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জের ধরে বুধবার সকালে সংঘর্ষ বাধে।
এএসপি তাপস আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ওসি রসুল নিজামী জানান, উপজেলার ডালপা গ্রামে আক্কল আলী ও ধনমিয়ার মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল।
এ বিরোধের জেরে গত সোমবার রাতে (ঈদের আগের রাত) খাদুরাইল গ্রামের বাবুল আক্তারের বাড়িতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সমঝোতায় আসতে পারেনি তারা।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ২০জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি রসুল নিজামী।
সরাইল থানার ওসি আলী আরশাদ জানান, উপজেলার রানীদিয়া গ্রামে দুদলের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ভাংচুরের শিকার হয়েছে অন্তত ২০টি দোকান।
ঈদের দিনও দুদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল বলে জানান ওসি।