হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মারা যান মোশাররফ হোসেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
১৯৭০’র নির্বাচনে জয়ী মোশাররফ হোসেন ২০১৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৭২ সালের শুরুতে ঢাকার মিরপুর এলাকা মুক্ত করতে বিশেষ ভূমিকার জন্য এই পুরস্কার দেয়া হয় তাকে। মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আশরাফুন্নেসা মোশাররফ তার স্ত্রী।
শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধে মোশাররফ হোসেনের অবদান স্মরণ করে বলেন, “তার মৃত্যুতে জাতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হারালো। জাতির যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়।”
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠতার কথাও স্মরণ করেন।
“পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এর দোসরদের হাত থেকে মিরপুরকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তার অবদান মিরপুরবাসী চিরদিন স্মরণ করবে।”
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেনের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানিয়েছেন।
বুধবার বিকালে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মোশাররফ হোসেনের জানাজা হয়।
জানাজার পর রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ফুল দিয়ে প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।