হামলাকারী আটক, ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় একটি বাড়িতে হামলার পর জনতার হাতে আটক পাঁচ ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2014, 11:56 AM
Updated : 30 July 2014, 11:56 AM

বুধবার ভোরে এ ঘটনায় ওই বাড়ির লোকজন আটকদের ডাকাত বলে দাবি করলেও পুলিশ বলছে পুর্ব বিরোধের জেরে এ হামলা হয়েছে, ডাকাতির ঘটনা নয়।

স্থানীয়রা জানান, ১২/১৩ জনের একটি দল ভোরে খাসপুকুরিয়া ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ ছিল না।

খোরশেদ আলীর শিশু কন্যা খুশী চিৎকার করলে হামলাকারীরা তাকে মারপিট করে আহত করে।

স্থানীয়রা ঘটনাটি জানার পর বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং পাঁচ হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়।

এরা হলেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পচা সারটিয়া গ্রামের গাজী আমির হোসেনের ২ ছেলে রাইজ উদ্দিন ও সলিম উদ্দিন, আয়নাল হকের ছেলে আতিকুল ইসলাম, আশরাফ আলী ও সরোয়ার হোসেন।

খোরশেদ আলী জানান, আটক ডাকাতদের মারধর করে চৌহালী থানায় সোর্পদ করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে চৌহালী ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা থানায় গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

খোরশেদ আলী জানান, ডাকাতরা তার মেয়েকে মারপিট ও বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করেছে। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি মজনু থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে দেয়।

“আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হবে,” বলেন খোরশেদ।

চৌহালী থানার ওসি শামসুল হক জানান, ঘটনাটি ডাকাতির নয়। নাগরপুরের লোকজন বিদেশে লোক পাঠানো বাবদ পাওনা ৮০ হাজার টাকা নিতে গেলে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওই ৫ জন আটক হয়েছিল।

আগামী শুক্রবার গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে নেতারা আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। 

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হযরত আলী মাস্টার বলেন, খোরশেদ আলী নাগরপুরের লোকদের কাছ থেকে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে ৮০ হাজার টাকা নিয়েছিল। ওই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেই তারা খোরশেদ আলীর বাড়িতে আসে। কিন্ত বাড়িতে কেউ না থাকায় তারা শিশু খুশিকে মারপিট করে এবং বাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করে।

এ সময় স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন ও খাসপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর  সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি দেখছি।