ঈদের পরদিন বুধবার নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে বাড়ি ফিরেছে, এটি একটি দৃষ্টান্ত। কাজটি সম্ভব হয়েছে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, র্যাব ও পুলিশের টিমওয়ার্কের ফলে।”
কাদের বলেন, ঈদে মানুষ যেমন ‘স্বস্তিতে’ বাড়ি ফিরেছে, ঠিক একইভাবে তারা যেন কর্মস্থলে ফিরতে পারে, সেজন্য সড়ক বিভাগের কর্মীরা ‘দিনরাত’ কাজ করে যাচ্ছে।
বৃষ্টির ফলে এবার ঈদের আগে সড়ক মেরামত বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা থাকলেও যানজটের কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির অভিযোগ ছিল এবার অনেক কম।
অবশ্য ঈদের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে দেশের সাত জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকাতে বাস মালিক সমিতির নেতাকর্মীদেরও সচেতন হতে হবে।
‘সমুচিত জবাব’
উপজেলা সদরের বসুরহাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের আগে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাদের।
মতবিনিময়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন অহিংস পন্থায় হলে রাজপথে সরকার অহিংসভাবেই তার জবাব দেবে। আর আন্দোলন সহিংসতার দিকে গেলে সরকারও সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।
“বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা ঈদের পরে সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা আন্দোলন করবেন, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা বাধা দেব না।
“জনগণকে নিয়ে তারা আন্দোলন করলে আমরা রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবেলা করব। আমরা কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা গায়ে পড়ে উস্কানি দেব না। তবে বিশৃঙ্খাকারীদের অবশ্যই মোকাবেলা করা হবে।”
এর আগে সকালে মন্ত্রী দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ইউছুফ আলী সেলিমের বাড়িতে যান।
তিনি সেলিমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং খুনিদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন।
গত ২৭ জুলাই রাতে নোয়াখালী জেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুরের চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি গ্রাম থেকে মোটর সাইকেলে নোয়াখালী শহরে ফেরার পথে সেলিমকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।