গঠনশৈলী ভালো, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে শুধু চট্টগ্রাম নয়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়ও রয়েছে এর কদর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বন্দিদের তৈরি মোড়ার উৎপাদন কমে গেছে।
কারা কর্তৃপক্ষের মতে, মোড়া তৈরিতে অভিজ্ঞ পুরনো বন্দিরা মুক্তি পাওয়ায় নতুনদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দিতে না পারায় কমেছে মোড়া তৈরি।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর কয়েদিরা ৪০০ থেকে ৫০০টি মোড়া তৈরি করে থাকে। বিভিন্ন সাইজের সাত থেকে আট ধরনের মোড়া তৈরি করা হয়ে থাকে কারাগারে।
প্রতিটি ৪২২ টাকা থেকে শুরু করে ১৭৬৩ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয় এ মোড়াগুলো।
এসব মোড়া বিক্রি করে গত বছর কারা কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ৪ লাখেরও বেশি টাকা। যেগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ কারাধ্যক্ষ ছগির মিয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারাগারে তৈরি এসব মোড়া মজবুত ও আকর্ষনীয় হওয়ায় দেশ ও দেশের বাইরে কারাগারের মোড়ার ব্যাপক চাহিদা আছে।
কারাগারের সশ্রম দণ্ডিত বন্দিরা এ কাজ করে থাকেন জানিয়ে এই কারা কর্মকর্তা বলেন, মোড়া তৈরির কাজে অভিজ্ঞ বন্দিরা নতুনদের প্রশিক্ষণ দেন।
বন্দিরা প্রতি সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয়টি মোড়া তৈরি করে থাকেন। কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে কেউ তা সংগ্রহ করতে পারেন।
তবে বর্তমানে কমে গেছে এই মোড়া উৎপাদন। কারাগারের অবকাঠামো সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় মোড়া তৈরি কমে গেছে বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষের।
কারাধ্যক্ষ ছগির মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কারাগারের অবকাঠামো ও সম্প্রসারণের কাজ হওয়ায় এ কাজ বন্ধ ছিল।
“যার কারণে এসময় অনেক বন্দি ছাড়া পাওয়ায় নতুনদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেনি। ফলে দক্ষ লোকবল তৈরি হয়নি।”
তবে দ্রুত এ উৎপাদন কাজ পুনরায় শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।