মঙ্গলবার ঈদের নামাজ শেষে অনেককেই নিজ নিজ গন্তব্যের বাস-লঞ্চ ধরতে দেখা গেছে।
এদিন যারা ঢাকা ছেড়েছেন তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন বিপণি বিতানের কর্মী। রাতভর কেনাবেচা শেষে বাড়ির পথে ছুটেছেন তারা।
তবে দিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি।
ঈদের আগের দিনগুলোর মতো সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে প্রচণ্ড ভিড় না থাকায় যেসব যাত্রী ছিলেন তারা বেশ স্বস্তিতেই বাড়ির পথে রওনা হন। বিকালের দিকে টার্মিনালে যাত্রী কিছুটা বাড়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলায়মান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার সকালে যাত্রীর চাপ ছিল। পরে দুপুরে কিছুটা চাপ কমে গেলেও আবার বিকালে বেড়েছে।”
এক সপ্তাহ ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে যাওয়ার জন্য সকালে সদরঘাটে লঞ্চের অপেক্ষায় ছিলেন ইসলামপুরের কাপড়ের দোকানের কর্মী জয়নাল হোসেন।
ঈদের দিন বাড়ি যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মালিক ছুটি দেয়নি। আমরা ভোরে দোকান বন্ধ করেছি।সারারাত কাস্টমার পেয়েছি। দুঃখ নেই। মালিক এক সপ্তাহ ছুটি দিয়েছেন।”
কমলাপুরে রেলওয়ের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. হুমায়ূন কবির জানালেন, ঈদের দিন সকালে কোনো ট্রেন ছাড়া হয় না। তবে রাতে দিনে দুটি মেইল ট্রেন চলবে।
এগুলোর একটি ময়মনসিংহ এবং অন্যটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর সায়দাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে অনেক যাত্রীকে বাসের জেন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ইউনিক পরিবহনের ব্যবস্থাপক আব্দুল হক বলেন, “অন্যদিন ৪০টি গাড়ি ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে ছাড়া হলেও ঈদের দিন ৮টি বাস চলবে। তবে বিকাল ও রাতে আরো কিছু বাস ছাড়া হবে।”
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, “ঈদের দিনও অনেক মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যায়। সে কারণে সব রুটেই পর্যাপ্ত বাস রয়েছে।”
সকালে-দুপুরে বেশকিছু বাসও ঢাকা ছেড়ে গেছে বলে তিনি জানান।