হবিগঞ্জে ঈদ জামাতে সংঘর্ষ, নিহত ১

হবিগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় ঈদ জামাতে সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

জামালপুর প্রতিনিধিহবিগঞ্জ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2014, 08:53 AM
Updated : 29 July 2014, 08:53 AM

সামান্য বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাতেও।

হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, রোজা না রেখে ঈদের নামাজ পড়তে আসার অভিযোগ নিয়ে সকালে লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামে ঈদের জামাতেই সংঘর্ষে জড়ায় বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোর্শেদ কামাল মোশাহিদ ও সাবেক সদস্য সোয়াই মিয়ার লোকজন।

এ সময় প্রতিপক্ষের পিটুনিতে শামিম (৫০) মিয়া নামের একজন নিহত এবং অন্তত ৫০ জন আহত হন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বলে পুলিশ সুপার জানান।

 লাখাই, বাহুবল,আজমিরিগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ ও সদর উপজেলায় ঈদের জামাতে রোযা রাখা ও না রাখা এবং বিলম্বে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে পৃথক সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম জানান, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার শিবপাশায় সকালে ঈদ জামাত চলাকালে স্থানীয় ওয়ায়েদুল লতিফ চৌধুরী ও ইফতি চৌধুরীর সমর্থকরা কাটাকাটিতে জড়ালে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।

ঈদের জামাতে দেরি হওয়ায় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পর্দখোলা ও মির্জাটোলা গ্রামে, সদর উপজেলার কাটাখালিতে এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চরহামুয়া গ্রামেও সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ সুপার জানান।

এসব ঘটনায় আরো অন্তত ৪০ জন আহত হন বলে জানান তিনি।

তবে এসব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ পুলিশ সুপার জানাতে পারেননি।

এদিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঈদ জামাতে দুই পক্ষের সংর্ঘষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে ঈদের জামাত চলাকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মিতালি বাজারসংলগ্ন মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএসআই আনোয়ার বলেন, দেওয়ানগঞ্জের চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সদস্য জয়নাল ও নান্দুর মধ্যে এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

“সকালে নান্দু মেম্বারের সমর্থকরা ঈদের নামাজ পড়তে এলে জয়নাল মেম্বারের লোকজন তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।”

সংঘর্ষে লিটন (৩২), হানিফ (৫০), আলম মাস্টার (৫৮), সুরুজ্জামানসহ (৬০)  উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন বলে এএসআই আনোয়ার জানান।

তিনি বলেন, আহতদের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।