‘দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই’

বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2014, 07:57 AM
Updated : 29 July 2014, 04:30 PM

ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারব। এই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে। আমি শুধু দেশবাসীর দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই।”

মঙ্গলবার ঈদের সকালে গণভবনে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানের প্রথমেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

এরপর সারি বেঁধে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল তার পাশে ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “সমগ্র দেশবাসীকে আমার ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক।

“দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এটুকু বলব, দেশবাসীর দোয়া চাই। তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, তারা সুযোগ দিয়েছেন- ভোটের মাধ্যমে। সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করে যাচ্ছি।”

সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারলে বাংলাদেশে আর ক্ষুধা বা দারিদ্র্য থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

দেশের সাধারণ নাগরিকদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি,“সবচেয়ে বড় কথা,আমরা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

“এই রমজান মাসে মানুষ ঢাকাসহ সারা দেশে যেভাবে কেনাকাটা করেছে, তাতে ঠিকই প্রতিয়মান হয় যে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে এবং মানুষ এখন অনেক শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।”

ঈদের সময় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে যারা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “দূরে যারা বাড়িতে গেছেন, তাদের যাতায়াতের জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছি, সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে; যাতে সুষ্ঠুভাবে সবাই গ্রামে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। সকলে সেভাবেই গিয়েছে। এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।”

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যারা কাজ করেছেন, তারাও প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ পেয়েছেন।

“আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। মধ্যরাতের পরও অনেকে কেনাকাটা করেছেন। আল্লাহর রহমতে তেমন কোনো অঘটন ঘটেনি। খুব শান্তিতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ঈদের কেনাকাটা করতে পেরেছে।”

দেশে দারিদ্র্যের হার কমার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “গত ছয় মাসে দারিদ্র্যের হার আরো এক ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছি। ২০০৯ এ যখন সরকার গঠন করি, সেটা ছিল ৩১ ভাগ। সেটা এখন ২৫ ভাগে নেমে এসেছে।”

সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিচারপতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

গণভবনের প্রাঙ্গণে শামিয়ানা টাঙিয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।