‘ভেদাভেদ ভুলে দেশ গড়ুন’

ঈদুল ফিতরের শিক্ষা মনে রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2014, 07:25 AM
Updated : 29 July 2014, 07:55 AM

মঙ্গলবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে অনাবিল সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।… সকল ভেদাভেদ ভুলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শিক্ষা আমাদের সকলকে সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ করুক, আজকের দিনে এ প্রত্যাশা করি।”

এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঈদ উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তার স্ত্রী রাশিদা খানম ও পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “ঈদ অর্থ আনন্দ, খুশি। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর খুশির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত।”

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বঙ্গভবনে আসেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বেসামারিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকও বঙ্গভবনে আসেন।

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য একেএম মাইদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাহারা খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভী, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমান।

ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শায়ের মোহাম্মদ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূতরাও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এছাড়া তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বঙ্গভভনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।