বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়েছেন।
ঈদের আগের দিন সোমবার তারা সবাই আলাদা আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। সোমবার সন্ধ্যায় শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির বাণী
ঈদে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ঈদুল ফিতরের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসুক।
প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।
ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
“পবিত্র এ দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।”
সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বক্তব্যে শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা
বিএনপি চেয়ারপারসন শুভেচ্ছা বার্তায় বলেছেন, “ঈদের মর্মবাণী সামাজিক কদর্য, অন্যায় ও নিষ্ঠুর অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধের প্রেরণা জোগায়।”
সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য খালেদা জিয়া সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রওশনের শুভেচ্ছা
ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ হিংসা, বিদ্বেষ ও অহঙ্কার ভুলে সবাইকে নতুনভাবে জীবন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে দাঁড়াতেও সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
“ঈদুল ফিতর আমাদের সকলের জন্য শান্তি ও সৌহার্দ্যের বার্তা নিয়ে আসে। তাই সময় এসেছে সকল ভেদাভেদ ভুলে বিশ্বের সকল মুসলমানকে ঐক্যবদ্ধ হবার, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর।”