ঈদের ছুটির প্রথম দিন সোমবার সকাল থেকে এই যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া অংশের দুটি চ্যানেলের মধ্যে একটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় রোববার রাত ১টার পর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অন্য চ্যানেল দিয়ে ফেরি পারাপার চালু থাকলেও নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে বলে জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভোর থেকে গাড়ির চাপ বাড়লে পাটুরিয়া ঘাটে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জট। বেলা ১২টার সময়ও ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কের নবগ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
এদিকে যানবাহনের চাপে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার মাওয়া ঘাটেও সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ জট।
মাওয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আশিকুজ্জামান জানান, তারা ১৮টি ফেরি দিয়ে পারাপার অব্যাহত রাখলেও গাড়ির চাপ বেশি থাকায় কুলিয়ে উঠতে পারছেন না।
বেলা ১২টার পরও মাওয়া থেকে শ্রীনগর উপজেলার দোগাড়ি পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়কে গাড়ির সারি অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।
যানজটের কারণে অনেকেই মাওয়া পর্যন্ত গাড়িতে এসে এরপর লঞ্চ বা স্পিডবোটে নদী পার হয়ে আবার কাওড়াকান্দি থেকে বাসে উঠছেন।
মাওয়া ঘাটে এবার যাত্রীসেবায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর আড়াই শতাধিক সদস্য কাজ করছেন। রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও স্কাউটের প্রায় অর্ধশত সদস্যও রয়েছেন। এছাড়া জরুরি চিকিৎসার জন্য রয়েছে মেডিকেল টিম।
নদীপথে নৌযানের নিরাপত্তা দিতে সিবোট ও ট্রলারে করে নৌপুলিশ পাহারা দিচ্ছে বলে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খন্দকার খালেদ হোসেন জানান।