রোববার সকালে যাত্রীর তেমন চাপ না থাকলেও দুপুরে হঠাৎ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় যাত্রীর চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে, পন্টুনে দাঁড়ানোর জায়গাও ছিল না।
ছাদে যাত্রী নেয়া নিষেধ হলেও সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চল পানে ছেড়ে যাওয়া সবগুলো লঞ্চেই ছাদে যাত্রী দেখা গেছে।
শনিবার এম ভি ভোলা নামে একটি লঞ্চের ছাদে উঠার সিঁড়ি রাখার কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
তবে রোববার অনেক একই ঘটনা দেখা গেলেও কাউকে কোনো জরিমানা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, “যাত্রীরা সুন্দরভাবে লঞ্চে উঠে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।”
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলায়মান বলেন, শনিবার সদরঘাট থেকে ৯০টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে দেশের দক্ষিণের জেলাগুলোর উদ্দেশে ছেড়ে যায় আর রোববার সন্ধ্যা পরর্যন্ত ৫০টির বেশি লঞ্চ ছেড়ে যায় সদরঘাট থেকে।
কেবিনের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন, যদিও অনেক যাত্রীদের অভিযোগ করতে শোনা যায় অন্যান্য সময়েরে চেয়ে কেবিনের ভাড়া বেশি নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে এমভি টিপু লঞ্চেরব্যবস্থাপক মো. ফারুক হোসেন বলেন, “অন্যান্য সময় লঞ্চ মালিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয় না। শুধু ঈদের সময় আমরা সরকারের ঠিক করা ভাড়া নিতে পারি।”
সদরঘাট খেকে ৪৫টি রুটের জন্য প্রায় ১৭০টি লঞ্চ রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।