শেরপুরে এনএসআই এর উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের খান রোববার জানান, ব্যবসায়ীকে ছুরি মেরে আহত করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আকরাম হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলেও তিনি জানান।
শনিবার ছুরিকাঘাতে শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ শামীম গুরুতর আহত হন।
এদিকে জনতার পিটুনিতে আহত এনএসআই কর্মকর্তা আক্রাম হোসেনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আহত ব্যবসায়ী শামীম শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেরপুর সদর থানার ওসি মাজহারুল করিম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখনো মামলা হয়নি। তবে এনএসআই কর্মকর্তাও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাস্তায় গাড়িকে সাইড দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এনএসআই এর সহকারী পরিচালক আক্রাম হোসেন ব্যবসায়ী শামীমের গালে ছুরিকাঘাত করেন।
কিন্তু ব্যবসায়ী শামীম ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় রাস্তায় তার প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে ক্ষুর দিয়ে শামীমের গালে আঘাত করেন এ কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এনএসআই কর্মকর্তা আক্রাম হোসেন বলেন, শামীমের বাড়ির সামনে একটি রিকশাভ্যান দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে শামীম ও তার স্ত্রী তার উপর হামলা চালান।
পরে স্থানীয় লোকজনদের ডেকে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তারা।