ঈদ আর গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রবাসীদের ফেরার ‍ধুম

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রীষ্মের ছুটির মধ্যে ঈদ হচ্ছে বলে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এবার দেশে ফিরেছেন স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2014, 01:03 PM
Updated : 27 July 2014, 01:24 PM

ট্র্যাভেল এজেন্টরা বলছেন, গতবছরের মতো রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় এবার প্রবাসীদের অনেকেই ঈদে দেশে আসতে আগ্রহী হয়েছেন। গ্রীষ্মের পর্যটন মৌসুমে উড়োজাহাজের টিকেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার পরও তারা গায়ে মাখছেন না।

উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশি ট্র্যাভেল এজেন্টদের সংগঠন ‘নাটাব’ এর প্রেসিডেন্ট নাজমুল হুদার হিসাবে, আগের যে কোনো গ্রীষ্মের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি প্রবাসী দেশে ফিরছেন এ বছর।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এবার প্রবাসীরা বেশ স্বস্তি নিয়েই দেশে গেছেন। অনেকে সন্তানদের স্কুল খোলা, অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেশে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন।”

নাজমুল হুদা জানান, আগামী কোরবানির ঈদ সামনে রেখেও অনেকে দেশে যেতে চাচ্ছেন। তবে এয়ারলাইন্সগুলো এখনও টিকেটে মূল্যছাড় ঘোষণা না করায় অনেকে সময় নিচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার পথে এমিরেটসের টিকেটের দাম ১ হাজার ২০০ ডলারের বেশি। ইতিহাদের টিকেটের দাম ১ হাজার ১০০, কুয়েত এয়ারের ১ হাজার ২০০ এবং কাতার এয়ারওয়েজের টিকেটের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার। গত বছর এসব প্রতিষ্ঠান প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের সুযোগ দিয়েছিল বলে জানান তিনি।

তবে টিকেট কেনার আগে প্রবাসীদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ট্যাভেলসের’ মালিক নাজমুল হুদা বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি সস্তা টিকেটের কথা বলে প্রবাসীদের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছে।

এদিকে ঈদ সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর হারও বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী এক্সচেঞ্জের কর্পোরেট হেড কোয়ার্টারের ব্যবস্থাপক শাহাদৎ হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ১০টি শাখা থেকে এ বছর রোজায় এক কোটি ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার প্রবাসী। গত বছর রোজায় সাড়ে ১৩ হাজার প্রবাসী পাঠিয়েছিলেন ৯৮ লাখ ডলার।

অন্যদিকে একই সময়ে রূপালী এক্সচেঞ্জের ছয়টি শাখা থেকে সাত হাজার প্রবাসী মোট ৪০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী শেখ ইসলাম।

গত বছর এই সময়ে ছয় হাজার প্রবাসী সাড়ে ৩০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।